আজহার মাহমুদ ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী, যিনি গণমাধ্যম ও মানবাধিকার আন্দোলনে দীর্ঘদিন সক্রিয় ছিলেন।
জন্ম ও শৈশব
তিনি ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনার মদন থানার মনিকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল খালেক আহমদ ও মাতা মোছাম্মৎ শরসেন্নেছা আহমদ।
শিক্ষাজীবন
আজহার মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা অর্জন করেন, যা তার পেশাগত জীবনে ভিত্তি তৈরি করে দেয়।
পেশাগত জীবন
তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ক্লাব-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-এর স্থায়ী সদস্য। তার কর্মজীবনে তিনি মানবজমিন, বিটিভি, বৈশাখী টেলিভিশনসহ একাধিক গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
মানবাধিকার কার্যক্রম
সাংবাদিকতার পাশাপাশি আজহার মাহমুদ ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন 'সেন্টার ফর হিউম্যান'-এর নির্বাহী পরিচালক। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধিতে তার অবদান ছিল প্রশংসনীয়।
বিতর্ক ও মামলা
২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে একটি বিতর্কিত মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে অভিযোগ ছিল—‘মিথ্যা ও মানহানিকর খবর প্রকাশের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানো।’ মামলাটি করেন হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মৃত্যু
আজহার মাহমুদ ১৪ মে ২০২৩
উপসংহার
আজহার মাহমুদের জীবন ছিল সাংবাদিকতা, সাহস, ও মানবাধিকারের প্রতি এক গভীর দায়বদ্ধতার প্রতিচ্ছবি। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি সত্য ও ন্যায়ের পথে ছিলেন অবিচল। তার জীবন থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সাংবাদিকদের জন্য রয়েছে অনেক কিছু শেখার।
সহায়ক গ্রন্থ: [নেমু], [চ্যাআঅ], ১৪ মে ২০২৩
Labels: সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, নেত্রকোনা, বাংলাদেশ, জীবনী